শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি “বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়” নামে পরিচিতি। প্রতিষ্ঠানটি
টুংগীপাড়া পৌরসভা সদরে এবং টুংগীপাড়া-গোপালগঞ্জ প্রধান সড়কের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানের মোট আয়তন
৫৪০০০ বর্গফুট। অত্র বিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি এস.এস.সি ভোকেশনাল ও এস.এস.সি উন্মুক্ত
শিক্ষাμম এবং গার্লস ইন গাইড কার্যμম চালু আছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত একটি ডিজিটাল
কম্পিউটার ল্যাব চালু আছে।
গিমাডাঙ্গা টুংগীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালিন শ্রদ্ধেয় সহকারী শিক্ষক জনাব আব্দুল হাই টুংগীপাড়া নারী
শিক্ষা প্রসার', সুন্দর-মনোরম ও নিরাপদ একটি পরিবেশের কথা ভাবেন এবং টুংগীপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও
আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠনের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, এলাকার শিক্ষানুরাগী/বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিদের কাছে নারী
শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রসারের কথা তুলে ধরেন। সাধারণ সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও সাধারণ
জনগণ অত্র ্।এলাকায় একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত জ্ঞাপন করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানার্থে বিদ্যালয়টির নাম “বঙ্গবন্ধু স্মৃতি উচ্চ বালিকা
বিদ্যালয়” নাম করণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। অতঃপর প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব আব্দুল হাই শরীফ। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় প্রধান পৃষ্ঠ পোষক তৎকালীন বিরোধী
দলীয় নেত্রী এবং বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মানস কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা।
্উলেখ
্য যে, তিনি বিদ্যালয়ের জমি μয়সহ ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নিজ তহবিল থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ
আর্থিক সহযোগিতা করেন। ডঃ ওয়াজেদ মিঞাঁ তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই শরীফ কে একাডেমিক ও
সার্বিক উনড়বয়নের পরামর্শ ও বিভিনড়ব দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে গণ প্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের জনসভায় যাওয়ার পথে অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান
শিক্ষিকা জনাবা শিরিনা আক্তার এর নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক বৃন্দ ও সকল ছাত্রী অভ্যার্থনা দেন
এবং প্রতিষ্ঠানটি সরকারি করণের দাবি করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অভ্যার্থনা সাদরে গ্রহণ
করেন এবং দাবির প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়টির সার্বিক উনড়বয়ন ও সরকারি কারণের প্রতিশ্র“তি দেন। প্রতিশ্র“তি মোতাবেক
গত ০৯/০৯/২০১২ইং তারিখে প্রতিষ্ঠানটির জাতীয় করণের সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়টি
প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে সকল ব্যক্তিবর্গ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তাদের নামের তালিকা নিুে দেওয়া
হলঃ
ক) মোঃ লায়েক আলী বিশ্বাস (সাবেক চেয়ারম্যান, পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদ, সাবেক সভাপতি বিদ্যালয় পরিচালনা
পরিষদ, সাবেক সভাপতি, টুংগীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা)।
খ) শেখ মোঃ ছহিরুদ্দীন মিয়া (বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক)।
গ) শেখ নুরুল হক (বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক)।
ঘ) শেখ মোঃ আকরাম হোসেন (সাবেক সহ-সভাপতি টুংগীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ)।
ঙ) জনাব শেখ আব্দুল হালিম (সভাপতি, টুংগীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাবেক সদস্য, বিদ্যালয় পরিচালনা
পরিষদ)।
চ) জানব মোঃ সোলায়মান বিশ্বাস (সভাপতি, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ, চেয়ারম্যান টুংগীপাড়া উপজেলা পরিষদ)।
ছ) জনাব মোঃ গাজী রফিকুল ইসলাম (সাবেক সভাপতি, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ, প্রভাষক সরকারি শেখ মুজিবুর
রহমান কলেজ টুংগীপাড়া)।
জ) জনাব শেখ জিয়াউল বশির (সাবেক সভাপতি বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ ও সাংগাঠনিক সম্পাদক টুংগীপাড়া
উপজেলা আওয়ামী লীগ)।
ঝ) শেখ আব্দুল সত্তার (সাবেক প্রধান শিক্ষক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়)।
ঞ) জনাব সিদ্দিকুর রহমান (সাবেক সদস্য বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ ও সমাজ সেবক)।
ট) শেখ আব্দুর রাজ্জাক (সাবেক সদস্য বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা)।
ঠ) শেখ রফিকুল ইসলাম (সাবেক সদস্য বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার)।
আরও উলেখ
থাকে যে, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিদ্যালয়ের সার্বিক উনড়বয়ন সহযোগিতা করেছেন।
০৯/০৯/২০১২ইং তারিখে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় করণ হওয়ায় বর্তমানে কোন ম্যানেজিং কমিটি
নেই।
বিগত ৫ বছরের এস.এস.সি এর ফলাফলঃ
পরীক্ষার সন পরীক্ষার্থী সংখ্যা পাশের সংখ্যা পাসের হার
২০০৯ ৫৩ ৩০ ৫৬.৬০%
২০১০ ৯৫ ৬৮ ৭১.৫৭%
২০১১ ১০২ ৫৮ ৫৬.৮৬%
২০১২ ১১৬ ৯১ ৭৮.৪৪%
২০১৩ ১০৪ ৮৩ ৭৯.৮০%
বিগত ৩ বছরের জে.এস. সি এর ফলাফলঃ
পরীক্ষার সন পরীক্ষার্থী সংখ্যা পাশের সংখ্যা পাসের হার
২০১০ ৭৩ ৩৭ ৫১%
২০১১ ১১৯ ৪৯ ৪১%
২০১২ ৯৪ ৬৬ ৭০%
উপবৃত্তি সংখ্যা
শ্রেণি ক-শাখা
৬ষ্ঠ ৪৬
৭ ম ৫১
৮ম ২২
৯ম ২১
১০ম ২৩
বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা যুগপযোগী করতে শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ বিভিনড়ব
পদ্ধতি/কার্যμম প্রয়োগ করে শিক্ষার গুণগত ও টেকশই উনড়বয়ন অভ্যাহত রেখেছেন বিধায় বর্তমান সরকার প্রনীত
শিক্ষা নীতির আলোকে বিদ্যালয়টিতে যোগ্য শিক্ষক/শিক্ষিকা এবং সর্বাত্মক সহায়ক ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকায় যে,
কোন সময় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি খোলার পরিকল্পনা আছে। সব মিলিয়ে বিদ্যালয়টি একটি “মডেল মাধ্যমিক
বালিকা বিদ্যালয়” হিসেবে সমগ্র দেশে পরিচিতি লাভ করার প্রচেষ্ট অব্যহত আছে।
মহলা- গিমাডাঙ্গা, ডাকঘর ঃ গিমাডাঙ্গা, উপজেলা ঃ টুংগীপাড়া, জেলা ঃ গোপালগঞ্জ।
মোবা নং-০১৯১৬৯২২৭০৩
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস