জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে উন্নয়নের অভিযাত্রায় দৃপ্ত পদে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম নিয়ামক হল ই-গভর্ন্যান্স। এই ধারণাটির সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন তথ্যসমৃদ্ধ, সহজে বোধগম্য এবং নির্ভরযোগ্য একটি ওয়েব পোর্টাল যেখান থেকে সাধারণ সেবাপ্রত্যাশীরা তাদের ঘরে বসেই তাদের সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে একটি সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে এবং তারা যাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছ থেকে মিথ্যা তথ্য পেয়ে প্রতারিত না হয়। গোপালগঞ্জ জেলা ওয়েব পোর্টাল (www.gopalganj.gov.bd) সেই প্রচেষ্টার সফল প্রয়াস এবং জনসাধারণের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে প্রতিনিয়ত এখানে তথ্য হালনাগাদ করা হয়।
রাষ্ট্রের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সমন্বয় করা হয় মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে। মাঠ প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় যা জেলা পর্যায়ে সরকারের সকল নির্বাহী কাজ সম্পাদন ও সমন্বয়ের কেন্দ্রবিন্দু। দেশের সাধারণ জনগণের বিশ্বাস, ভরসা ও আস্থার প্রতীক জেলা প্রশাসন রাজস্ব ও স্থানীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্যক্রম, পাবলিক পরীক্ষাসহ শিক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়, মূল্যবান সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ট্রেজারি ব্যবস্থাপনাসহ সরকারের নানামুখী উন্নয়নমূলক কাজ জেলা প্রশাসন করে থাকে। জনগণের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এসব কাজের তথ্য যাতে জনগণ ঘরে বসেই পেতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে এ পোর্টালে নিয়মিতভাবে তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে জনগণ ঘরে বসেই প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার কারণে তাদের মূল্যবান সময়ের অপচয় কমে এসেছে, বারবার অফিসে আসার খরচ কমেছে এবং তাদের সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এই পোর্টালের মাধ্যমে জনগণের সাথে জেলা প্রশাসনের সহজ যোগাযোগ স্থাপন, অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং জেলা প্রশাসনকে আরো জনবান্ধব ও গতিশীল করা হবে-এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আপনার যে কোন মূল্যবান মতামত আমাদের এই প্রচেষ্টাকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
জেলা প্রশাসক
গোপালগঞ্জ
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস