সপ্তাহের প্রতি বুধবার হয় গণশুনানি। সেখানে উপস্থিত হয়ে নিজেদের সমস্যার কথা বলেন ৩০০ মানুষ। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই গণশুনানি। তাৎক্ষণিক মানুষের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। ছোট ছোট সমস্যার নিজেই সমাধানের চেষ্টা করেন জেলা প্রশাসক। কারো কাপড় কিনে দেওয়া, বাচ্চার স্কুলের ব্যাগ, চিকিৎসা খরচের মতো সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিক সমাধান করেন তিনি। বড় কোনো সমস্য হলে সুপারিশ করেন সমাধানের জন্য, দেন থানায় বা সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ফোন। আজ বুধবারও বসেছিল গণশুনানি। সেখানে আবেদন পড়ে ৩০০। আবেদনকারীদের উপস্থিতিতে সমস্যার কথা শোনেন জেলা প্রশাসক। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘গণশুনানি মন্ত্রিপরিষদের একটি নির্দেশনা। প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকা থেকে লোকজন বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে গণশুনানিতে আসে। তবে এসংক্রান্ত বিষয়ে তেমন কোনো ফান্ডের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তার পরও গণশুনানিতে গরিব অসহায় লোকজনকে ওষুধ, চিকিৎসা, শিক্ষার্থীদের বই ক্রয় এবং স্কুল-কলেজে ভর্তির জন্য সামান্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকি। যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের স্থানীয়ভাবে আবার ঢাকার বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করে পাঠানো হয়। যাতে তারা বিনা খরচে বা স্বল্প খরচে চিকিৎসাসেবা পেতে পারে। গণশুনানিতে গোপালগঞ্জ সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক হারুণ-অর রশীদ, জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাদ মাহামুদ জয়, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস