Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

পুরাকীর্তির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

উলপুর জমিদার বাড়ি

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা হতে উত্তর-পূর্বদিকে মধুমতি বিলরুট ক্যানেলের তীরে উলপুর গ্রাম অবস্থিত। এ এলাকার তৎকালীন হিন্দু জমিদারগণ জনসাধারণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন, গড়ে তুলেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক বিনোদন কেন্দ্র যা এখনও বিদ্যমান। ভগ্নপ্রায় প্রাচীন ভবনসমূহ তার দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য হারিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে এখনো পুরনো সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের কথা জানান দিচ্ছে।


ঐতিহ্যবাহী আড়পাড়া মুন্সীবাড়ী

ব্রিটিশ শাসন আমলে চৌধুরী খেতাব প্রাপ্ত আলহাজ্ব ইসমাইল মুন্সী গোপালগঞ্জ জেলা শহর হতে প্রায় ৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে মধুমতি বিলরুট ক্যানেলের পশ্চিম তীরে বিখ্যাত আড়পাড়া গ্রামে একটি দ্বিতল রাজবাড়ি তৈরি করেন। স্থানীয়ভাবে এটিই আড়পাড়া মুন্সীবাড়ী নামে পরিচিত। ধ্বংসপ্রায় সুরম্য সিংহদ্বারবিশিষ্ট ও প্রশস্ত বারান্দাসহ দ্বিতল অট্টালিকা এই অঞ্চলে সর্বপ্রথম মুসলিম জমিদার বাড়ির আভিজাত্যের স্বাক্ষর বহন করে।


উজানী জমিদার বাড়ী

উজানী জমিদার বাড়িটি মুকসুদপুর উপজেলার উজানী গ্রামে অবস্থিত। বাড়িটির অবস্থান মুকসুদপুর উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণ দিকে মুকসুদপুর-উজানী সড়কে ২০ কিলোমিটার দূরবর্তী উজানী ইউনিয়নের উজানী গ্রামে।


বনগ্রাম জমিদার বাড়ি

বনগ্রাম জমিদার বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলার ছোট বনগ্রাম গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। স্থানীয়দের কাছে এটি ভূঁইয়া বাড়ি নামেও বেশ পরিচিত।


কোর্ট মসজিদ

মসজিদটি ১৯৪৯ সালে গোপালগঞ্জের প্রাণকেন্দ্রে তৎকালীন স্থাপত্য শৈলীর সেরা প্রযুক্তিগত শৈলীতে নির্মিত হয়েছিল। ঢাকার লাল মোহাম্মদ নামে একজন দক্ষ কারিগরের তত্ত্বাবধানে মসজিদের মূল ভবনটি আগ্রার তাজমহলের আদলে তৈরি করা হয়েছিল এবং মসজিদের প্রধান ফটকটি মুঘল স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটির নির্মাণকার্য সম্পন্ন হতে প্রায় তিন বছর সময় লেগেছিল।


ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ি

কাশিয়ানী উপজেলার একটি ইউনিয়ন ওড়াকান্দি। শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের লীলাক্ষেত্র এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মহাতীর্থ হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বী মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে ওড়াকান্দি একটি পবিত্র স্থান। ১২১৮ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে ওড়াকান্দির পার্শ্ববর্তী সাফলিডাঙ্গা গ্রামে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। প্রতিদিন দেশ-বিদেশ হতে মতুয়া সম্প্রদায়ের অসংখ্য অনুসারীসহ সাধারণ মানুষ এই তীর্থস্থান দর্শন করতে আসেন।


কবি সুকান্তের পৈতৃক ভিটা

বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক ভিটা কোটালীপাড়া উপজেলার উনশিয়া গ্রামে। কবি সুকান্ত ও তাঁর পরিবারের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তাঁর পৈতৃক ভিটায় জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে কবি সুকান্ত লাইব্রেরি কাম অডিটোরিয়াম যা ভ্রমণ পিপাসুদের নিকট একটি দর্শনীয় স্থান।


বানিয়ারচর ক্যাথলিক চার্চ

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কলিগ্রাম মৌজায় ক্যাথলিক চার্চটি অবস্থিত। ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে বিশপ তাবেজ্জা বানিয়ারচর ধর্ম পল্লীতে আগমন করেন। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের পুরোহিতগণ সর্বপ্রথম এ এলাকায় ছোট একটি উপাসনালয় নির্মাণ করেন। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ অক্টোবর বানিয়ারচরকে একটি মিশনারী স্টেশনে পরিণত করা হয়। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিল বর্তমান গীর্জা ঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। চার্চটির মনোরম সৌন্দর্য সকলকে অভিভূত করে।